চ্যালেঞ্জ থেকে সাফল্য: অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ

অপরাধ আন্তর্জাতিক ওপার বাংলা জাতীয় ধর্ম ফিচার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনোদন সারাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ
Spread the love

সূচনাটা ছিলো অনেক চ্যালেঞ্জের। চারিদিকে প্রতিকূলতা। দেশকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়। অন্যদিকে শুধুই শূন্যতা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সঙ্কট। বিদেশে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ। মাথাপিছু আয়ের ঘাটতি। বিশাল সংখ্যক মানুষের বেকারত্ব। শিক্ষায় এগিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভগ্নদশা। মেগা প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার ও তা কার্যকরের প্রতিশ্রুতি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ। এ সবই করতে হয়েছে মাথা ঠাণ্ডা রেখে। পর্যায়ক্রমে। আর উন্নয়ন অগ্রগতির এই সরণীতে বাংলাদেশ শামিল হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের সাফল্যে তাই বিশ্ব আজ উচ্ছ্বসিত।

অবাক বিস্ময়ে বিশ্ববাসী আজ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া দেখছে। অনুকরণ করছে এদেশের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র। এখন মানুষ স্বপ্ন দেখে না। বাস্তবতার জয়গান গায়। শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। শুরুতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের জন্য তিনি বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের এর আগে এতবড় কোন প্রকল্প শুরু করার অভিজ্ঞতা যেমন ছিলো না। ঠিক তেমনি ছিলো টাকার অভাব। এতটাকা আসবে কোত্থেকে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের জন্য অর্থ সহায়তা চান। নানান মারপ্যাচে আটকে দেয়া হয় সে প্রকল্প। কাজ শুরুর আগেই অভিযোগ তোলা হয় দুর্নীতির। দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ জাতিপিতার কন্যা কারো আর্থিক সহায়তার চিন্তা বাদ দেন। চ্যালেঞ্জ নিতে জানেন তিনি। ঘোষণা দেন এই প্রকল্প কারো সহায়তা ছাড়াই তিনি সম্পাদন করবেন। করলেনও তাই। পদ্মা সেতু এখন বাংলাদেশের দৃশ্যমান এক বাস্তবতা। ৭০ শতাংশ কাজ সমাপ্তির পর দেশের মানুষ এখন অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন এই প্রকল্প সমাপ্তির জন্য। দেশের অর্থনীতি রাজনীতির সবচেয়ে বড় মাইলফলকটি কবে উম্মোচিত হবে সেদিকে। পদ্মাসেতু। আহা স্বপ্নের পদ্মাসেতু। শতাব্দীর বঞ্চনার অবসান ঘটানোর স্বপ্নপূরণের কাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *